সুমন আর জুমন দুই বন্ধু প্রেমে ছ্যাক খেয়ে ঠিককরলো, এই ইহজীবনে তারা আর
কোনও মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে না। দুজনেই সিদ্ধান্ত নিলো, পৃথিবীর এই
চেনা পরিবেশ ছেড়ে তারা চলে যাবে সুদূর আলাস্কা, সেখানে লোকালয় থেকে
বহুদূরে, বিশেষ করে মেয়েদের থেকে বহুদূরে গিয়ে বাস করবে। আলাস্কা পৌঁছে
তারা স্থানীয় এক দোকানে গিয়ে তাদের উদ্দেশ্য খুলে বললো, তারপর দুজন
মানুষের জন্যে এক বছরের রসদ গুছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানালো দোকানীকে। বুড়ো
দোকানী সব যত্ন করে সাজিয়ে দিলো, প্রায় সবরকম খাবারদাবার, সংসারের নানা
জিনিসপত্র, তার সঙ্গে একটা অদ্ভূত বোর্ড। বোর্ডের নিচের দিকে একটা ফুটো,
তার চারপাশে ভেড়ার লোম।
দুই বন্ধুই অবাক হয়ে বললো, ‘এটা আবার কী?’
দোকানী বললো, ‘তোমরা যেখানে যাচ্ছো, সেখানে কোনও মেয়েছেলে নেই। এই জিনিসটা কাজে আসতে পারে।’
কী
ভেবে রাজি হয়ে দুই বন্ধু চলে গেলো। এক বছর পর সুমন একাই সেই দোকানে ফিরে
এলো। দোকানীকে আবারো এক বছরের জন্য রসদ গুছিয়ে দিতে বললো সে, তবে এবার
একজনের জন্য। দোকানী অবাক হয়ে বললো, ‘গত বছর তো তোমরা দুজন এসেছিলে, নাকি?
আরেকজন কোথায়?’
‘ঐ ব্যাটাকে খুন করেছি আমি।’ জানালো সুমন।
বুড়ো দোকানী ঘাবড়ে গিয়ে বললো, ‘সে কি, কেন?’
‘একদিন অসময়ে বাড়ি ফিরে দেখি, আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমার বোর্ড নিয়ে বিছানায় গেছে হারামজাদাটা।’