সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

বাঘ! বাঘ! বাঁচাও, বাঁচাও। —অ্যাট জঙ্গল।

এক রাখাল ছেলে মজা করার জন্য ঘরে বসেই স্ট্যাটাস দিল,

‘বাঘ! বাঘ! বাঁচাও, বাঁচাও। —অ্যাট জঙ্গল।’

এক কাঠুরিয়া তখন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে কাঠ কাটছিল। কাঠুরিয়ার অ্যান্ড্রয়েড সেটে নোটিফিকেশন আসতেই সে জঙ্গলে ছুটে গেল।
কিন্তু জঙ্গলে গিয়ে তো কাঠুরিয়া অবাক।
কোথায় রাখাল? কোথায় বাঘ? কিছুই তো নেই। কাঠুরিয়া যখন বিরক্ত হয়ে ফিরে আসছে,
তখন দূর থেকে তাকে দেখে রাখাল স্ট্যাটাস দিল,

‘কাঠুরিয়ারে বাঘের কথা কইয়া বেকুব বানাইসি। লোল! — ফিলিং গ্রেট!’

সেই স্ট্যাটাসে অনেক লাইক পড়ল। শেয়ারও করল অনেকে। কাঠুরিয়া খুবই দুঃখ পেল।
সে ভাবল, ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে দেবে।
কিন্তু পরে মনে হলো, ফাজিল রাখালের জন্য আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করার কোনো মানে হয় না।
তাই সে রাখালের স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে

‘ইটস হ্যারাজিং মি’— এই মর্মে রিপোর্ট করে দিল।

কয়েক দিন পর কাঠ কাটতে গিয়ে আবার নোটিফিকেশন পেল কাঠুরিয়া।
রাখাল আবার চেক ইন দিয়েছে,

‘বাঘ! বাঘ! বাঁচাও, বাঁচাও। —অ্যাট জঙ্গল।’

এবার আর রাখালের ফাঁদে পা দিল না কাঠুরিয়া।
সে রাখালের দেওয়া চেক ইনে লাইক দিয়ে কমেন্ট করল,

‘মজা লস?’

অনেকেই সেই কমেন্টে লাইক দিল। তবে রাখাল কোনো রিপ্লাই দিল না।
কিছুক্ষণ পর বাঘের স্ট্যাটাস;

‘মজা আছে— ইটিং রাখাল।’

***উপদেশ: মিথ্যা স্ট্যাটাস দিলে একদিন নিজেই বিপদে পড়বে

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

ফোন রাখো আর বিছানায় ফিরে আসো

সামিনা সারাদিন অফিস করার পর শ্রান্ত ক্লান্ত হয়ে বাসে উঠে কোনোরকমে সিটে গা এলিয়ে দিল। তার পাশে এক ছেলে এসে বসলো। বাস ছাড়তেই ছেলে ফোন বের করে কথা বলা শুরু করলো জোরে জোরেঃ “হ্যালো!! হ্যালো!!! হ্যাঁ ডার্লিং আমি সাদেক বলছি…আমি বাসে উঠলাম”
“আমি জানি আমার ৪ টায় ফোন করার কথা…এখন ৬টা বাজে।কিন্তু জানু মিটিং এ ছিলাম।মিটিং শেষ হতে দেরি হয়েছে।“ বিকট গলায় বলতে লাগলো সাদেক।
সামিনার মাথা ধরে যাচ্ছিল কথার আওয়াজে।
“হ্যাঁ জানু সত্যি আমি অ্যাকাউন্টের মেয়ের সাথে ছিলাম না, বসের সাথে ছিলাম” সাদেক বলতেই লাগলো।
“হ্যাঁ জানু লাভ ইউ, আমি তো শুধু তোমাকেই ভালোবাসি”
১৫ মিনিট পরেও একই ভাবে জোরে জোরে কথা বলতে লাগল
সামিনার সহ্যের সীমা পার হয়ে গেল।সে সাদেকের ফোনের কাছে তার মাথা নিল।
আর বলল “সাদেক, তাড়াতাড়ি ফোন রাখো আর বিছানায় ফিরে আসো”

২০০০ সাল আর ২০৩০ সাল এর ভাইভা



স্কুলের পরীক্ষার ভাইভায় আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিলোঃ

টিচারঃ “বলো তো, লাইট বাল্ব কে আবিষ্কার করেন ??”
আমিঃ “থমাস আলভা এডিসন !!”
টিচারঃ “কিভাবে কারে ছাড়াই ফ্যানের বাতাস পাওয়া যায় ??”

আমি হা করে তাকায়ে পারি নাই !!
টিচার নিজেই বলে দিলেন, “জেনারেটর বা আইপিএস দিয়ে !!”
আমি সব বুঝার ভান করে মাথা নাড়লাম !!
টিচারঃ “এইবার বলো, কোন আমলে”১ টাকা” কে অনেক মূল্যবান মনে করা হইতো??”
আমিঃ “শায়েস্তা খা এর আমল !!”
টিচারঃ “বাহ !! তুমি অনেক ভালো একটা ছাত্র !!”
… … …

২০৩০ সালঃ
আমার পিচ্চি ছেলে আর মেয়েটা স্কুলের ভাইভা দিচ্ছে …

টিচারঃ”বলো তো, লাইট বাল্ব
কে আবিষ্কার করেন ??”
পিচ্চিঃ”লাক্স সাবান !!”
টিচারঃ”কিহহ !!”
পিচ্চিঃ”জ্বী স্যার লাক্স সাবানই !!”
টিচারঃ”কিভাবে ??”
পিচ্চিঃ”মেহজাবিন এর মাধ্যমে!!”
টিচারঃ”মানে ??”
পিচ্চিঃ”আরেহ !! আমার বাপের আমলের অ্যাডে দেখছি, লাক্স সাবান দিয়ে গোসল করে মেহজাবিন বের হয় … অতঃপর ঘর অন্ধকার হইয়া গেলেও মেহজাবিন ১০০ পাওয়ারের
বাত্তির মত জ্বলতে থাকে !!”
টিচারঃ (বিস্ময়ের ধাক্কা সামলায়ে) …
আচ্ছা, এইবার বলো, “কিভাবে কারেন্ট ছাড়াই ফ্যানের বাতাস পাওয়া যায় ??”
পিচ্চিঃ”এইটা তো সোজ ক্লোসআপ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে কারো সামনে গিয়া হা উথাল
পাথাল বাতাস পাওয়া যায় !!”
টিচারঃ”মানে ??”
পিচ্চিঃ”স্যার, আমার বাপের আমলের অ্যাডে দেখেন নাই ?? … ঐ যে, “কাছে এসো, কাছে এসো, প্রতি নিঃশ্বাসে তোমা
তবুও … হোওওওওওওওও !!”- এই গান গায়ে যে হা করলেই উথাল পাথাল হাওয়া বাতাস শুরু হয়??
টিচারঃ (স্তম্ভিত হয়ে)”শেষ প্রশ্ন …
ঠিকঠাক ভাবে উত্তর দিবা … কোন আমলে”১ টাকা” কে অনেক মূল্যবান মনে করা হইতো??”
পিচ্চিঃ”এয়ারটেলের আমলে !!”
টিচারঃ”কী বলো এইস
পিচ্চিঃ”এরাই তো মাস শেষে ১ টাকা বোনাস দিতো, আবার
ঘটা করে “CONGRATULAION” ও জানাইতো …
তাইলে আমি কী ভুল বলছি??”
টিচার জ্ঞান হারান …

হাসপাতালে জ্ঞান ফিরার পর
আমার পিচ্চিটা বলতে থাকে,
“এইটা এমন কোন দুর্ঘটনা নয় স্যার …
আমার বাপের আমলে যা হইছিলো ………

টিচার দ্বিতীয়বার জ্ঞান হারান …আবার জ্ঞান ফিরার পর আমার
আরেক পিচ্চিটা জিজ্ঞেস করে,
“স্যার আপনার অনুভূতি কী ?? …
মাইন্ড কইরেন না … আমার বাপের আমলে ……”
… … …
টিচার ইন্তেকাল করার আগেই আমি পিচ্চি দুইটাকে টেনে নিয়ে আসি ..
কারণ আমি জানি, মরার পরে তারা বলে বসবে,
“আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়া গেছে … জানেন স্যার, আমাদের বাপের আমলে এক ……. . !!”

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

কে হতে চায় কোটিপতি

চান্দু গেলো “কে হতে চায় কোটিপতি” অনুষ্ঠানে!!

১০০০ টাকার জন্য চান্দুকে প্রশ্ন করা হলঃ আপনার বাবার নাম কি??
অপশনগুলো হচ্ছে,

A. Amir Khan.
B. Shah Rukh Khan.
C. মখলেস মিয়াঁ
D. Sachin Tendulkar.
চান্দু অনেকক্ষণ ভাবার পর বললঃ আমি লাইফ লাইন নিতে চাই।

৫০-৫০

দুটো অপশন মুছে গেলো, রইলঃ

C. মখলেস মিয়াঁ
D. Sachin Tendulkar.
চান্দু তবুও নিশ্চিত নয়। বলল, আমি দর্শকদের সাহায্য নিতে চাই।
দর্শক ভোটিং এর রেসাল্টঃ

C. মখলেস মিয়াঁ (৮০%)
D. Sachin Tendulkar. (২০%)
চান্দু এবারো নিশ্চিত নয়। বলল, আমি আমার শেষ অপশন ফোন ফ্রেন্ড ব্যাবহার করতে চাই।
উপস্থাপকঃ আপনি কাকে ফোন করতে চান?
চান্দুঃ আমার বাবা, জনাব মখলেস মিয়াঁকে।

বাত পালাতে পথ পাবে না


‘বাত পালাতে পথ পাবে না’ ‘বাত পালাতে পথ পাবে না’ বলে চেঁচাচ্ছিল এক লোক। মানে সে একজন ঔষধ বিক্রেতা। এক লোক এগিয়ে গেল।
- ভাই, সত্যিই এতে কাজ হয়?
- অবশ্যই।
- তা হলে এক বোতল দিন।

লোকটি কিনে নিয়ে চলে গেল। কিন্তু এক মাস ব্যবহার করেও কোন ফল পেলো না। এসে ধরল সেই লোককে।

- কী? আপনি তো বলেছিলেন বাত পালাতে পথ পাবে না, কিছুই তো হলো না।
- বাতের ব্যথা যায় নি?
- না।
- ঐ যে বললাম বাত পালাতে পথ পাবে না। পালানোর পথ পাচ্ছে না তো।

তুমি এমেরিকান না?

এক পাগল এক চাইনিজকে জিজ্ঞেস করছে, তুমি কি এমেরিকান?

জবাবে চাইনিজ না বলল।

পাগল আবার জিজ্ঞেস করল, তুমি এমেরিকান না?

চাইনিজ বলল, না, আমি চাইনিজ।

পাগল জোর দিয়ে বলল, মিথ্যা বলছ, তুমি অবশ্যই এমেরিকান।

চাইনিজ লোকটি শেষে বিরক্ত হয়ে বলল, হ্যাঁ বাবা। আমি আমেরিকান। খুশি??

পাগলঃ চেহারা দেখে তো মনে হয় তুমি চাইনিজ!!

আমাদের তো এসি-ই নাই


রেস্টুরেন্টে এক কাস্টমার ওয়েটারকে ইচ্ছামতো গালিগালাজ করছে আর এসি অ্যাডজাস্ট করতে বলছে । কখনো বলছে- এসি বাড়াও, কখনো বলছে -আরেকটু কমাও…বেত্তমিজ, অ্যাডজাস্ট করতে পারো না? বেয়াদব…ইত্যাদি ইত্যাদি । ওয়েটারের বিনা বাক্যব্যয়ে বারবার ছুটে যাচ্ছে এসি অ্যাডজাস্ট করতে…গালি খেয়েও কোনো রাগের চিহ্ন নেই তার মধ্যে ।
অবশেষে আরেক কাস্টমার থাকতে না পেরে ওয়েটারকে বললো–”আপনার রাগ উঠছে না ?”
ওয়েটার–”না…বরং মজা লাগছে ।”
–”কীভাবে?”
ওয়েটার কানের কাছে ফিসফিস করে জানালো–”আমাদের তো এসি-ই নাই ।